মাছ-মাংসের বাজারে ঊর্ধ্বগতি, মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তা বাড়ছে

রাজধানীতে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মাছ-মাংসের দাম। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রামপুরা ও বনশ্রী বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০–২০০ টাকায়। দেশি মুরগির দাম ৫০০–৫৫০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও চিংড়ির কেজির দামও ৪০–৫০ টাকা বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, অদৃশ্য সিন্ডিকেট পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দামের বিশাল ফারাক তৈরি করছে। এভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে বড় সুখবর
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা একই দামে বিক্রি করছেন। রামপুরার ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া জানান, “আগে ১৪০–১৫০ টাকায় বিক্রি করতাম, এখন ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা আধা কেজি কিনছেন।”
বিজ্ঞাপন
ক্রেতা জান্নাতুর রহমান বলেছেন, সংসার চালাতে এখন বাজার করার জন্য আরও সচেতন হতে হচ্ছে। ফারজানা হক বলেন, “দাম প্রতিদিন বাড়ছে, তাই বাজারে দুই দিনে একবার আসতে হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করান, সরকারি নজরদারি ও সিন্ডিকেট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে অস্থিরতা ক্রমশ বাড়ছে। পাইকারি ও খুচরা দামের ব্যবধান কমানো না গেলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না।