এক বছরে বন্ধ ১৮২ পোশাক কারখানা, বড় সংকটে রপ্তানি খাত

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প আবারও বড় সংকটে পড়েছে। গত এক বছরে ১৮২টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনের নেতারা বলছেন, জ্বালানি ঘাটতি, প্রশাসনিক জটিলতা ও নিরাপত্তাহীনতা এখন এ খাতের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবিএ নেতারা জানান, পোশাক খাতের বিদ্যমান সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া গেলে ২০২৭ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করা সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
বিজিবিএ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, “আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন। কোথাও হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ হচ্ছে, কোথাও আবার নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ন্যায্য মূল্য আদায় ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলেই এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত দুই মাসে পোশাক রপ্তানিতে ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। উদ্যোক্তারা মনে করেন, জ্বালানি সংকট এবং রাজস্বখাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এখনই উত্তরণ হলে পুরো শিল্পখাতের জন্য তা আত্মঘাতী হতে পারে। তাই এই প্রক্রিয়া অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তারা।
বিজিবিএর মতে, স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ, কাস্টমস প্রক্রিয়ায় সহজীকরণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে তৈরি পোশাক খাত আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।