ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে ভারত থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ অনুমতি দেয়।
এতে মোট ৫০ জন আমদানিকারককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একজন আমদানিকারক সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন এবং কেউ দ্বিতীয়বার আবেদন করতে পারবেন না। আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ থাকবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য ঘোষণা
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি ইস্যু করে প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) এক বছর আগে পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস খোঁজার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল। উৎসগুলো হচ্ছে পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, চীন ও মিয়ানমার। বাংলাদেশ এত বছর ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করে আসছিল। এ ছাড়া চীন ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল, তবে তা পরিমাণে কম।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আমদানির খবরে কমলো দেশি পেঁয়াজের দাম
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষ না হতেই ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের কিছু থাকে বীজের জন্য, কিছু পচে যায়। ফলে মৌসুম শেষে সরবরাহে একটু টান পড়ে।








