আমি বড় পর্দার অভিনেত্রী, ইউটিউবে ফ্রিতে দেখানো আমার কাজ না: শাবনূর

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই নিজের নতুন চলচ্চিত্র ‘রঙ্গনা’-এর কিছু ফুটেজ ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় প্রযোজনা সংস্থার ওপর তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। দীর্ঘ বিরতির পর এই ছবির মাধ্যমে তার অভিনয়ে ফেরার খবরে ভক্তরা উচ্ছ্বসিত হলেও এই ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে শাবনূর এই ঘটনায় তার ক্ষোভের কথাগুলো তুলে ধরেন। তিনি চলচ্চিত্র জগতে পেশাদারিত্বের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এখনকার সময়ের চলচ্চিত্র জগতে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ কঠিন হয়ে পড়েছে এবং শিল্পীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান হারাচ্ছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাবনূর লেখেন, ‘আমি বড় পর্দার অভিনেত্রী। আমার কাজ ইউটিউবে বিনামূল্যে দেখানোর জন্য নয়। যদি আমি আগে জানতাম এই প্রজেক্টটি সিনেমাহলের বদলে ইউটিউব কনটেন্ট হিসেবে প্রকাশিত হবে, তবে আমি কখনই এতে অংশ নিতাম না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মিথিলা সবচেয়ে বেশি ভোটে এগিয়ে
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয় এবং ভক্তদের উচ্ছ্বাসে শাবনূরও আশাবাদী ছিলেন। মহরতের পর কিছু অংশের শুটিংও করেন। তবে বিভিন্ন জটিলতায় কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শাবনূর জানান, প্রযোজকের সঙ্গে কথা ছিল তিনি দেশে ফিরে ডিসেম্বরে বাকি অংশের শুটিং শেষ করবেন।
কিন্তু তার আগেই অনুমতি ছাড়া ফুটেজ প্রকাশ করায় তিনি বেশ হতবাক। পোস্টে লেখেন, ‘আমি কখনোই বলিনি যে ‘রঙ্গনা’ ছবিতে আর কাজ করব না। তাহলে কেন আমার অনুমতি ছাড়াই ছবির অসম্পূর্ণ ক্লিপগুলো ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করা হলো? এখন আবার বলা হচ্ছে, পুরনো সব দৃশ্য বাদ দিয়ে নতুন করে শুটিং হবে, যা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিজ্ঞাপন
শাবনূর শুরু থেকেই প্রযোজনা সংস্থার অপেশাদার আচরণের কথা উল্লেখ করেন। জানান, কাজ শুরুর আগেই একটি নিম্নমানের পোস্টার প্রকাশ করা হয়, যা সর্বত্র ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। এছাড়া শুটিং ইউনিটে অব্যবস্থাপনা এবং বিদেশে শুটিং ও সম্পাদনার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগও তোলেন এই অভিনেত্রী।
এই ঘটনায় নিজের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ও পেশাগত মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, ‘এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পুরো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও এক দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা।’








