ডিপজলের বিরুদ্ধে মারধর-অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগের সত্যতা পায়নি সিআইডি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগের সত্যতা পায়নি অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিজ্ঞাপন
সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক সুলতান মাহমুদ গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। মামলাটি ৮ জুলাই দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযোগকারী রাশিদা আক্তার ডিপজলের অন্ধ ভক্ত। বিভিন্ন সময়ে তিনি এফডিসিতে গিয়ে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতেন।
২০২৫ সালের ২ জুন গাবতলী কোরবানির হাটে তিনি ডিপজল আছেন ভেবে হাসিল ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। হাসিল ঘরের কর্মীরা তাঁকে বাধা দেন।
বিজ্ঞাপন
রাশিদা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন, লোকজন তাকে মানসিক রোগী হিসেবে আটক করার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে তিনি নিজের কাছে থাকা কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ শরীরে ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। হাটে থাকা লোকজন তা আটকায় এবং তাঁকে শান্ত করার পর তিনি বাড়ি ফিরে যান।
বিজ্ঞাপন
রাত ২টার দিকে চিৎকার শুনে তার স্বামী আব্দুল মজিদ উঠে দেখেন, রাশিদার শরীরে ফোসকা পড়েছে।
পরের দিন দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের ওয়ার্ডে তিনি টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিডিও আপলোড করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে ১১ জুন তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিপজল বা তার কোনো লোক হাটে উপস্থিত ছিলেন না। তাই অ্যাসিড নিক্ষেপ বা মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।








