‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রের সঙ্গে সমঝোতায় তৃণমূল

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিলিগুড়ির চিকেনস নেক এলাকা দিয়ে ভারতের সঙ্গে নেপালের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর সেখান দিয়ে অনুপ্রবেশ ও নকশালপন্থিদের প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলকাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “এটা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।”
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে দুই পক্ষ দুটি বড় সিদ্ধান্ত নেয়—
শিলিগুড়ি সীমান্ত পাহারায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) থাকবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে নতুন প্রক্রিয়া চালু হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিক্ষোভের জেরে ১১ সেপ্টেম্বর পতন ঘটে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সরকারের। এরপর সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয় এবং সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন। তবে দেশটির পরিস্থিতি এখনও অস্থির।
ভারতের রাজনীতিতে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্তকে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: এনডিটিভি
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন