নেপালে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জের সময়

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নেপালে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকার এখন এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি।
বিজ্ঞাপন
দেশটি জেন জি আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করছে। সরকারের মূল দায়িত্ব হলো নির্বাচনের প্রস্তুতি, ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা।
সরকারের কাঠামো ও দায়িত্ব
কার্কি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা তিন সদস্যের হলেও, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত ও চীনের সমর্থন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা জরুরি।
নতুন সরকারকে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং ভূরাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ
বিজ্ঞাপন
সাবেক উপদেষ্টা শঙ্কর দাস বৈরাগী সতর্ক করেছেন, ভুল বিদেশনীতি নেপালের জন্য বিপজ্জনক।
কূটনৈতিক পরিকল্পনা ও তথ্যের অভাব দেশকে আন্তর্জাতিক প্রভাবের কাছে দুর্বল অবস্থায় ফেলছে।
বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি
বিজ্ঞাপন
মৃগেন্দ্র বাহাদুর কার্কি বলেন, “নেপালের নতুন সরকারকে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে—ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। শুধুমাত্র দুটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা পররাষ্ট্রনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যটনের মৌসুমে দেশের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ভূরাজনৈতিক পদক্ষেপ বর্তমান জটিলতার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞাপন
সরকারের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সীমিত সুযোগের মধ্যেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে সমন্বয় করা।
বিজ্ঞাপন
পর্যটন ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জন।
সংক্ষেপে, কার্কি সরকারের জন্য নির্বাচন আয়োজন, অবকাঠামো পুনর্গঠন, ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা—এগুলো এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সুবিচার ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা অপরিহার্য।