সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু, নিরাপদ দেখাতে গিয়ে অজ্ঞান ডাক্তার

ভারতের রাজস্থানে বিষাক্ত কফ সিরাপ সেবনে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায় অস্বীকার করতে গিয়ে ওই সিরাপ নিজে সেবন করেন এক সিনিয়র ডাক্তার, তবে কিছুক্ষণ পরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শিকর জেলায়। নীতিশ নামের এক শিশুকে সর্দি-কাশির কারণে তার বাবা-মা স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে একটি কফ সিরাপ প্রেসক্রাইব করেন। ২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির মা সিরাপ খাওয়ান। রাত তিনটার দিকে শিশুটি হেঁচকি তুলতে শুরু করে, এরপর তাকে পানি খাইয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আর ঘুম থেকে ওঠেনি সে।
একই ধরনের অভিযোগ করেন আরেক অভিভাবকও। তাদের দুই বছরের সন্তানও ২২ সেপ্টেম্বর ওই সিরাপ খাওয়ার পর মারা যায়। তাদের অন্য দুই শিশু দীর্ঘসময় অচেতন থাকার পর জেগে ওঠে, তবে অবিরাম বমি হতে থাকে। পরে ফের সম্রাট নামের দুই বছরের এক শিশু অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তারও মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় সমালোচনা ছড়িয়ে পড়লেও হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডা. তারাচাঁদ যোগী দাবি করেন, তার দেওয়া ওষুধ প্রাণঘাতী নয়। তিনি সিরাপের একটি ডোজ নিজে সেবন করেন এবং একটি ডোজ এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককেও দেন। কিন্তু ভরতপুরে যাওয়ার পথে ডা. তারাচাঁদ হঠাৎ চোখ জুড়িয়ে আসায় গাড়ি রাস্তার পাশে থামান এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রায় আট ঘণ্টা পর লোকেশন ট্র্যাক করে পরিবার তাকে উদ্ধার করে। অ্যাম্বুল্যান্স চালকও একইভাবে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন, তবে চিকিৎসার পর সুস্থ হন।
শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজস্থান সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেয়। ইতোমধ্যে ওই কফ সিরাপের ২২টি ব্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বাজার থেকে ডিস্ট্রিবিউশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।