ফ্লোটিলার শেষ জাহাজ আটক করল ইসরাইল

গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর শেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী ছিলেন। খবর আল জাজিরার।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’-কে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে জোরপূর্বক আটক করে ইসরাইলি বাহিনী।
লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা বলপ্রয়োগ করে জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘ম্যারিনেট’ ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করেছিল। এটি ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ। এর আগে বহরের আরও ৪৩টি জাহাজ ইসরাইলি বাহিনী আটক করে।
বিজ্ঞাপন
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদেরও আটক করেছে ইসরাইল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এ পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে বহু দেশ।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এতে যুক্ত আছেন প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
বিজ্ঞাপন
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও কয়েকটি নৌযান বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও পরে কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে সংযুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে রয়েছে ৪০টির বেশি নৌযান।
ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে যে এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।