সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও পুরো উদ্যোগটির সমালোচনা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার কোপেনহেগেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মানবাধিকারকর্মীদের এই মিশন কিংবা ইতালিতে তাদের সমর্থনে ডাকা ধর্মঘট, কোনোটিই ফিলিস্তিনিদের কোনো উপকারে আসবে না। বরং এসব কর্মসূচি ইতালির নাগরিকদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”
ফ্লোটিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিক ছিলেন। প্রায় ৪৫টি জাহাজের মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েল আটক করেছে, যার যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন ইতালীয় নাগরিক ছিলেন। তারা গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানাতে বৃহস্পতিবার ইতালির বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দেয়। বুধবার রাতে জাহাজগুলো আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভও শুরু হয়।
তবে মেলোনি ব্যঙ্গ করে বলেন, “এই ধর্মঘট আসলে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের জন্য আরামদায়ক সাপ্তাহিক ছুটির অজুহাত। দীর্ঘ ছুটি আর বিপ্লব একসঙ্গে চলে না।”
শুক্রবারের ধর্মঘট ও শনিবারের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। মেলোনি বলেন, “আমি অন্তত আশা করেছিলাম তারা শুক্রবারে সাধারণ ধর্মঘট ডাকবে না।”
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি সংসদে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধকেন্দ্রিক অবস্থানের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, “৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে রোম সমর্থন দিয়েছিল। তবে এখনকার অভিযানে মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। গাজা মানেই হামাস নয়, ফিলিস্তিনি মানেই হামাস নয়।”
বিজ্ঞাপন
ইতালির রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাড়ছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি ফ্লোটিলা ও সংহতি কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তায়ানি ইসরায়েলের অতিরিক্ত আগ্রাসনের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন।
সূত্র: রয়টার্স