গাজামুখী ফ্লোটিলার আটক কর্মীদের ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল

বৃহস্পতিবার দেশটির সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয় প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত এই নৌবহর। এতে ফিলিস্তিনপন্থী বহু আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী ও সামাজিক আন্দোলনের নেতারা ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।

নৌবহরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফ্লোটিলার ৩৯ জাহাজ থমকে গেল বাধায়, গাজার পথে মাত্র একটি

বুধবার থেকে ফ্লোটিলার জাহাজ আটক করতে শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। তারা জানায়, অবরোধাধীন জলসীমায় এসব জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইতোমধ্যে অন্তত ৩৯টি জাহাজ আটক হয়েছে, যার মধ্যে থুনবার্গের জাহাজও রয়েছে।

ফ্লোটিলার ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি জাহাজ আটক বা আটক প্রচেষ্টার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আটক যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং শিগগিরই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। একই সঙ্গে থুনবার্গ ও অন্য কর্মীদের ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, তারা সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।

ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবু কেশেক বলেন, “যেসব জাহাজ এখনো আটক হয়নি, তারা যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল। তাদের লক্ষ্য গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।”

আরও পড়ুন: গাজার পথে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানবাধিকারকর্মী রুহি লোরেন

অন্যদিকে আয়োজকরা এক বিবৃতিতে নৌযান আটককে ‘‘অবৈধ’’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রমের সময়ই ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজগুলোকে আটক করেছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আটক অভিযান শুরুর পর থেকে কয়েকটি জাহাজের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আটক কর্মীদের একটি বন্দরে রাখা হয়েছে এবং তাদের শিগগিরই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এসময় প্রকাশিত এক ফুটেজে দেখা যায়, ২২ বছর বয়সী থুনবার্গকে তার জিনিসপত্র গোছাতে সাহায্য করা হচ্ছে।

সূত্র: এএফপি