গাজায় শান্তি রক্ষায় তিন মুসলিম দেশের সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা

প্রায় দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েল ও হামাস। শান্তি রক্ষায় জামিনদার হিসেবে ইতোমধ্যে স্বাক্ষর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্ক।
বিজ্ঞাপন
এখন গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা চলছে। আলোচনায় শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে তিনটি মুসলিম দেশের নাম এসেছে—পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া। এই তিন দেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দেয়নি।
ইন্দোনেশিয়া প্রকাশ্যে জানিয়েছে, জাতিসংঘের অনুমোদনে তারা ২০ হাজার শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় জাতিসংঘের সরাসরি ম্যান্ডেট উল্লেখ নেই। অন্যদিকে কাতার, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ে ইসরায়েলে সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গাজায় ঢুকছে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক
প্রস্তাবিত বাহিনীর মূল কাজ হবে গাজায় সংঘাত রোধ, ত্রাণবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং পর্যবেক্ষণ। যদিও চূড়ান্ত ম্যান্ডেট ও অংশগ্রহণকারী দেশ চূড়ান্ত হয়নি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন দ্রুত প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণকারী দেশ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর গাজায় স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বিশ্বনেতারা বহুপাক্ষিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন।