লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, নিহত ৪

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে অভিবাসনপথে দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর একটি নৌকায় থাকা ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলের খুব কাছে দুটি নৌকা উল্টে গেলে তারা খবর পায়। দ্রুত উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিতদের উদ্ধার করে এবং মৃতদের মরদেহ তীরে আনতে সক্ষম হয়।
প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন ২৬ বাংলাদেশি—যাদের মধ্যে চারজন প্রাণ হারান।
দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন মোট ৬৯ জন অভিবাসী, যার মধ্যে দুজন মিসরীয় ও ৬৭ জন সুদানি; তাদের মধ্যে আটজন শিশু ছিল। এ নৌকাডুবিতে কেউ প্রাণ হারাননি।
বিজ্ঞাপন
রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মোট প্রায় ১০০ জনকে বহনকারী এই দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পেছনে মানবপাচারকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রাই মূল কারণ।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া অস্থিতিশীলতায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই দেশটি ইউরোপমুখী অভিবাসীদের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে সেখানে আট লক্ষাধিক অভিবাসী অবস্থান করছেন—যাদের বড় একটি অংশ বিভিন্ন নির্যাতন, শোষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিজ্ঞাপন
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গে সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সম্পর্ক ও বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান কমে যাওয়া এবং সমুদ্র পথে নিয়োজित দাতব্য সংস্থাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ বাড়ার ফলে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপগামী পথ আরও বিপদজনক হয়ে উঠছে।








