গাজার ধ্বংসস্তূপে চাপা ছিল এক পরিবারের ৩০ মরদেহ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক পরিবারের ৩০ সদস্যের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় প্রাণ হারান বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, নিহত পরিবারটি গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকায় বসবাস করত। দীর্ঘদিন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় এতদিন তাদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ৩৫ বছর পর ইরাকে নামল প্রথম ইউরোপীয় বিমান
বিজ্ঞাপন
কর্মকর্তারা জানান, হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে ওই পরিবারের মোট ৬০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা ৩০ জন। বাকি সদস্যদের দেহাবশেষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেলে পরদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
অভিযানের সময় আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, স্কুল, দোকান, আশ্রয়কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এই হামলাগুলোতে অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়ে যায় এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারণে অনেক মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ২০২৫ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার ও উদ্ধারকাজ শুরু করে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। উদ্ধার অভিযান শুরুর পর এটিই প্রথম ঘটনা, যেখানে একটি পরিবারের এত বিপুলসংখ্যক সদস্যের দেহাবশেষ একসঙ্গে পাওয়া গেল।
বিজ্ঞাপন
চলমান সংঘাতের দুই বছরে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। নিহত ও আহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু। পাশাপাশি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর কারণে গাজায় জমে উঠেছে শত শত টন ধ্বংসাবশেষ, যা সরানো এখন বড় মানবিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি








