ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ‘শূন্য নীতি’ প্রত্যাখ্যান ইরানের, ওয়াশিংটনকে কড়া জবাব

ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত ‘বন্ধুত্বের হাত’ গ্রহণের প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এবং ইরানের ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধের মার্কিন আহ্বান।
বিজ্ঞাপন
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার থেকে জানা যায়, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এক দূতের মন্তব্যের জবাবে তেহরান স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কূটনীতির আবরণে ইরানকে আসলে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যা কোনোভাবেই একটি সুস্থ আলোচনার পরিবেশ হতে পারে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইরানের মিশন জানিয়েছে, শূন্য সমৃদ্ধকরণ, আলটিমেটাম এবং কূটনৈতিক শব্দে মোড়ানো চাপ- এসবকে কোনোভাবেই সমঝোতা বলা যায় না। এটি মূলত ইরানকে নতজানু করার একটি প্রচেষ্টা। ইরান মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের একপাক্ষিক শর্তারোপ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
বিজ্ঞাপন
ইরান অভিযোগ করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, কূটনীতির প্রশ্নে ওয়াশিংটনের কোনো নৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তেহরানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছে যে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও যুদ্ধে তারা সরাসরি সহায়তা ও সমন্বয় করছে। এই অবস্থায় একদিকে যুদ্ধের মদদ দেওয়া এবং অন্যদিকে কূটনীতির কথা বলাকে চরম ভণ্ডামি হিসেবে দেখছে ইরান।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন তাদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করে বলেছে , ইরানের পররাষ্ট্রনীতি কোনো পেশিশক্তির শাসনের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনের শাসনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই নীতির বাইরে গিয়ে কোনো ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে ইরান কখনোই মাথা নত করবে না। মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মাঝে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের এই বাকযুদ্ধ পরমাণু চুক্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।








