৯ জেলায় বন্যার আশঙ্কা, বিশেষ সতর্কবার্তা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নতুন করে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে তিন জেলায়, পাশাপাশি আরও ছয় জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় এবং ভারতের মেঘালয়, আসাম ও মিজোরামে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগস্টে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৪৮২
বিজ্ঞাপন
এই পরিস্থিতিতে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী তিন দিনে বাড়তে পারে এবং বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়বে এবং তিস্তা ও দুধকুমার বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলার পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, সাঙ্গু ও ফেনী নদীর পানি বাড়ছে, যদিও হালদা ও মাতামুহুরীর পানি কিছুটা কমেছে। আগামী দুই দিনে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদীর পানিতে সাময়িকভাবে ডুবে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুলাই, কংস ও জিঞ্জিরাম নদীর পানিও বেড়েছে। আগামী তিন দিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়বে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন