নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের সরঞ্জাম কেনাকাটা ও সরবরাহ শুরু

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত হবে এমন বিভিন্ন সামগ্রীর কেনাকাটা ও সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসব সরঞ্জামের চালান পৌঁছাতে শুরু করেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে একের পর এক চালান সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কার্যাদেশের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই অন্তত ছয় ধরনের সামগ্রী ধাপে ধাপে আনা হচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর কয়েকটি চালান পৌঁছেছে এবং সর্বশেষ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নতুন চালান এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ৯ জেলায় বন্যার আশঙ্কা, বিশেষ সতর্কবার্তা
বিজ্ঞাপন
ইসির উপ-সচিব রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, লাল গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় হেসিয়ান ব্যাগ ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগসহ চাহিদার অংশবিশেষ সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগের পুরো চাহিদাই পূরণ হয়েছে।
কেনাকাটা ও সরবরাহকৃত আট ধরনের সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
লাল গালা: ২৩ হাজার কেজির চাহিদার এক-চতুর্থাংশ ইতোমধ্যে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞাপন
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক: ৫০ লাখ চাহিদার বিপরীতে পাঁচ লাখ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
অফিসিয়াল সিল: ৮ লাখ ৪০ হাজারের চাহিদার মধ্যে পাঁচ লাখ ইতোমধ্যেই এসেছে।
মার্কিং সিল: ১৭ লাখ ৫০ হাজারের চাহিদার বিপরীতে দেড় লাখ সরবরাহ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বড় হেসিয়ান ব্যাগ: ৭০ হাজার চাহিদার সব সরবরাহ করা হয়েছে।
ছোট হেসিয়ান ব্যাগ: ১ লাখ ১৫ হাজার চাহিদার সব সরবরাহ হয়েছে।
এছাড়া, ১ লাখ ১৫ হাজার ব্রাস সিল এবং সমসংখ্যক গানি ব্যাগের চাহিদা থাকলেও রিটেন্ডার প্রক্রিয়ার কারণে এখনও সরবরাহ শুরু হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আগস্টের শুরুতে জানান, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। আটটি আইটেমের মধ্যে একটি পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে হয়েছে, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আগস্টে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৪৮২
ইসি কর্মকর্তারা আরও জানান, অধিকাংশ ভোটের সামগ্রী নির্বাচন কমিশন থেকেই সরবরাহ করা হয়। তবে কিছু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করতে হয় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। সুঁই-সুতা, দিয়াশলাই, আঠা, কলম এবং প্লাস্টিকের পাতসহ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ২১ ধরনের ছোটখাটো উপকরণ লাগে। আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা, কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর তফসিল ঘোষণার পর এগুলো আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা অফিসে পাঠানো হবে। ব্যালট পেপারসহ সব সরঞ্জাম নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটের আগে প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন