জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি ভিন্ন পথের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা চারটি ভিন্ন পথের প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এগুলো হলো- অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, “কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হলেও আমরা চাই না অযথা সময়ক্ষেপণ হোক। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাই।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগে গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে দ্রুতই ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে কমিশন আশাবাদী।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাচ্ছেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও এতে সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন।
বিজ্ঞাপন
কমিশন প্রথমে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কাজ করার সময়সীমা পায়। পরে ১২ আগস্ট তা এক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ আরেক মাস বাড়িয়ে মেয়াদ ঠিক করা হলো ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।