বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বিধান বাতিল চায় ঐকমত্য কমিশন

সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়ে কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যা শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার মধ্যে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের স্বাক্ষরে পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়, সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদটি ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কমিশন বিবেচনা করছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মতামত লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে এবং দেশ-বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ দূতাবাসে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে।”
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন কমিশন এই অনুচ্ছেদটি সংবিধান থেকে বিলোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। দলগুলোর মতামত কমিশনের ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর অনুরোধও করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, তারা ঐকমত্য কমিশনের চিঠি পেয়েছেন এবং বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ৪(ক) অনুচ্ছেদটি সংযোজন করে। এতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়।