চীনের বিশাল বাঁধ প্রকল্পে নতুন উদ্বেগে ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৫শে আগস্ট ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে পানি ও সীমান্ত ইস্যুতে চীন-ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলমান। এরই মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের চীনের ঘোষণা। নদীটি ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। সীমান্ত ঘেঁষা এই মেগা প্রকল্পে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতের আশঙ্কা, শুষ্ক মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিপ্রবাহ প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পানি নিয়ন্ত্রণকে ‘কূটনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বেইজিং। এ অবস্থায় ভারতও নিজেদের বিশাল বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাতিল হলো স্পেসএক্সের স্টারশিপ ১০-এর উৎক্ষেপণ
রয়টার্স জানায়, এই নদী চীন, ভারত ও বাংলাদেশসহ প্রায় ১০ কোটির বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার কারণে ভারত এতদিন প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে ছিল। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাঁধ হলে তাদের গ্রাম ও বসতি পানিতে তলিয়ে যাবে।
এর মধ্যে চীন গত ডিসেম্বরে সীমান্ত ঘেঁষা জেলায় বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অভিন্ন নদীর ভাটির দেশগুলোর অধিকার বিবেচনা না করেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা স্পষ্টতই ভারত ও বাংলাদেশের নদী প্রবাহে প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’র আঘাতের আশঙ্কা, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ তিব্বত ও অরুণাচলে বিশাল বাঁধ প্রকল্প নিম্নপ্রবাহের মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। চীনের প্রকল্প আগামী দশকের শুরুতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত যদি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি করে, তাহলে বেইজিং একতরফাভাবে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে যাবে।
এএস