অগ্নিসংযোগের দায় বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপানোর নির্দেশ দেন হাসিনা

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের দায় বিএনপি ও জামায়াতের ওপর চাপানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে তাঁর ফাঁস হওয়া ফোনালাপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই কথোপকথনে বিদেশি গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ২৪ জুলাই শেখ হাসিনা ও নসরুল হামিদ বিপুর মধ্যে হওয়া ফোনালাপটি ফাঁস হয়েছে।
সেখানে হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেন, “শিবির আর ছাত্রদল মিলেই অগ্নিসংযোগ করছে, মানে বিএনপি-জামায়াত করছে। এটা বারবার বলতে হবে, লিখতে হবে এবং বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বিদেশে খবর যাচ্ছে ছাত্রলীগ এসব করছে।”
বিজ্ঞাপন
ওই আলাপে নসরুল হামিদ বিপু জ্বালানি বিল নিয়ে কাজের অগ্রগতি জানালে শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন সংবাদ প্রচারের জন্য। পাশাপাশি সংবাদে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করার কথাও বলেন। হাসিনাকে শোনা যায়, “কাটলে বলবা তোদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেব।”
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জানান, জুলাই আন্দোলন দমনের নির্দেশনা গোপন করতে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার চারটি ফোন নম্বরের প্রায় এক হাজার কল রেকর্ড মুছে ফেলা হয়।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যে, ওইদিন সন্ধ্যায় ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর সার্ভার থেকে এসব তথ্য মুছে ফেলতে নির্দেশ দেন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। পরে লোক পাঠিয়ে সার্ভার থেকে কলরেকর্ড ও মালিকানার তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রমাণ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, শুধু শেখ হাসিনার নয়, একই সময়ে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কলরেকর্ডও মুছে দেওয়া হয়েছিল।