২৩৭ কোটি টাকা বৈধ করতে কোটি টাকার ঘুষচুক্তি এনবিআর কর্মকর্তার

এনবিআরের কর অঞ্চল-৫ এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষচুক্তির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, এসএ গ্রুপের কর্ণধার ও এসএ পরিবহনের মালিক সালাহ উদ্দিন আহমেদের ২৩৭ কোটি টাকার আয় বৈধ করতে এই ঘুষচুক্তি হয়।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, সালাহ উদ্দিন আহমেদ তার আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের মাধ্যমে ১২ কর বর্ষের রিটার্ন ‘সংশোধন’ করে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিতুর সঙ্গে ১ কোটি টাকার ঘুষ চুক্তি করেন। সেই চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৮ লাখ টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়। বিনিময়ে সহকারী কর কমিশনার মিতু আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি আইনজীবী ওবায়দুলের হাতে তুলে দেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) কর অঞ্চল-৫ কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে ঘুষের বিনিময়ে সরকারি নথি হস্তান্তরের প্রাথমিক প্রমাণ মেলে বলে দুদক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর অঞ্চল-৫ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে আয়কর নথি বিকৃত করে সম্পদ সংযোজন ও রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এনফোর্সমেন্ট টিম পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দেবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, করমুক্ত খাতে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার আয় সংযোজনের মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা নিতে ঘুষচুক্তি হয়। ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন আহমেদ পূর্বে আপিল, ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টেও নিজের পক্ষে রায় পাননি। এরপরই তার আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার ঘুষের মাধ্যমে কর সুবিধা নেয়ার পরিকল্পনা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় এনবিআর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুকে ১ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি করদাতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও তার আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।