শিলংয়ে আমাকে পাগলাগারদে পাঠানো হয়েছিল: সালাহউদ্দিন

গুম নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে তিনি ফিরে দেখলেন সেই পথ, যেটি দিয়ে ২০১৫ সালে তাকে গোপনে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতের শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের ওই সীমান্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমাকে যেদিন চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন কিছুই বুঝতে পারিনি। জানতাম না যে, আমাকে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে পাঠানো হচ্ছে। ভেবেছিলাম হয়তো আমাকে ক্রসফায়ারে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে, এই পথ দিয়েই আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, “শিলংয়ে পৌঁছে যখন চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়, তখন বুঝতে পারলাম আমি অন্য দেশে। প্রথমে ভেবেছিলাম, এবার হয়তো আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের কাছে গেলে তারা আমাকে পাগলাগারদে পাঠায়। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো জীবনের বাকি সময়টা সেখানেই কাটাতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হন। তার পরিবার অভিযোগ করে, তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং শহরে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।