আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভবনের সাময়িক ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান বিচার ও ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিসংযোগের সময় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ব্যানার ঝুলানো ছিল। ব্যানারের নিচে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, লাঠি হাতে অবস্থান নেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ কিছু ছাত্র ও সাধারণ জনতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছিল। পরে কিছুদিন ভবনটি পরিত্যক্ত থাকে। পরবর্তীতে সেখানে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করা হয়, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির উদ্যোগে পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিরাপত্তা বাহিনী অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভবনের আশেপাশে অতিরিক্ত টহল দিচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনা রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনী প্রাক্কালে এমন ধরনের ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।








