Logo

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় সম্ভাবনা নেই বড় পরিবর্তনের

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭
53Shares
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় সম্ভাবনা নেই বড় পরিবর্তনের
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। ঘোষণার পর কিছু এলাকায় মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমর্থকদের সীমিত বিক্ষোভ দেখা গেলেও, সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছে দলটির হাইকমান্ড।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তালিকায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই, তবে প্রয়োজন মনে হলে কয়েকটি আসনে সামান্য সমন্বয় আনা হতে পারে।

দলীয় নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, যেসব প্রার্থীর বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের অবস্থান যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে নিরপেক্ষ একটি সংস্থার মাধ্যমে। যাচাই শেষে প্রয়োজনে সীমিত পরিবর্তন আনতে পারে দলটি। তবে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট—একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকায় সামান্য অসন্তোষ স্বাভাবিক এবং সেটি ধীরে ধীরে সমাধান হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। দু-এক জায়গায় কিছু অসন্তোষ দেখা দিতে পারে, তবে ইতোমধ্যে দলীয় উদ্যোগে সমস্যাগুলো মিটে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী, সবাই শিগগিরই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য মাঠে নামবেন।

ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন বণ্টন নিয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। তবে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, শরিকদের নিজ নিজ প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা বিষয়টি দলটিকে ভাবাচ্ছে। তাই শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় প্রতিদ্বন্দ্বী দলের শক্তি ও ভোট-সংখ্যার পাশাপাশি আরপিওর নিয়মও বিবেচনায় নিচ্ছে বিএনপি।

গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এসব বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বা বৈঠকের আপডেট সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

দলীয় সূত্র জানায়, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা ইতোমধ্যে ১০৩ জনের প্রার্থী তালিকা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য জোটও প্রায় অর্ধশত আসনে সমঝোতা চায়। বিএনপি এসব তালিকা যাচাই-বাছাই করে শর্টলিস্ট তৈরি করেছে। শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্যদিকে, বিএনপি এবার শরিকদের জন্য ২৫–৩০টি আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৫৯টি। বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করেই শরিকদের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গেও বিএনপির আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতা এনসিপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোটে যেতে অনাগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

এক সদস্য বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে ভূমিকা ঐতিহাসিক, তবে সরকারের অংশ হয়ে গেলে সেই অবস্থান দুর্বল হয়। বিএনপি চাইছে না একই ভুল হোক।

এনসিপির সঙ্গে সম্ভাব্য জোট বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এক আলোচনায় বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব হয়নি, তবে ভবিষ্যতে সমঝোতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিজ্ঞাপন

সব মিলিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী তালিকা ও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শরিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD