আ.লীগের ‘লকডাউন’ মোকাবিলায় মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচিকে ফ্যাসিবাদীদের নাশকতা আখ্যা দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাজপথে অবস্থান নেবে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল। মঙ্গলবার এই রাজনৈতিক শক্তিগুলি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞাপন
জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভারতের পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন ঘোষণা করবে বৃহস্পতিবার।
সরকার জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপিকে মাঠে অবস্থানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চরমোনাইয়ের পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদের হিংস্র রূপ আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, চোরাগোপ্তা হামলা ও ককটেল হামলার মাধ্যমে দেশব্যাপী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস উস্কে দিচ্ছে। তাই এলাকাভিত্তিক সতর্কতা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াত কার্যালয়ে আট দলের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়, ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বস্তরের জনশক্তি রাজপথে অবস্থান নেবে।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়ার গোলাম পরওয়ার বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবে।
এর পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরও বৃহস্পতিবার রাজপথে অবস্থান নেবে। তারা জানিয়েছে, সকাল ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে একই কর্মসূচি পালিত হবে।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১৩ নভেম্বরের রায় ও এর প্রভাবকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত থাকলেও মাঠে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাবধানী ও কেন্দ্রীভূত কর্মসূচি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।








