প্রয়োজনে হারব, তবুও জোট নয়-নির্বাচন করব একাই: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনে জোট না থাকলেও তিনি একাই দেবিদ্বারের জন্য কাজ করে যাবেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, “৫শ’ ভোট না, আমি যদি দশ ভোটও পাই, তবুও সেই ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। প্রয়োজনে হারব, তবুও জোট নয়, একাই নির্বাচন করব।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নে পদযাত্রা শেষে এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মানুষ অনেক সময় মন্তব্য করেন—জোট না করলে আমি ৫শ’ ভোটও পাবো না। আমি দেবিদ্বারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি, এবং যে ভোটাররা বিশ্বাস রাখছেন, তাদের জন্যই কাজ করে যাব।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এলাকার কিছু মুরুব্বি জানতে চান জোট করা হবে কি না। তারা পার্টিকে পছন্দ করেন, ব্যক্তিকে নয়। যদি দশ ভোটও পাই, আমরা একাই দাঁড়িয়ে থাকব।
হাসনাত বলেন, দেবিদ্বারের শিক্ষিত যুবক ও শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তার পাশে আছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার ফাঁকে গ্রামে এসে জনসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি উল্লেখ করেন, যারা তরুণ, যাদের বিবেক বন্ধক দেওয়া নেই, তারা শাপলা কলিতে আছে। নারীদের অনেকেই শাপলা কলিতে যোগ দিচ্ছেন, তাদের স্বামীরাও যোগ দেবেন। আমার নির্বাচনে কোনো টাকা লাগবে না, এজেন্ট লাগবে না। যারা ভোট দিতে আসবে, তারাই আমার এজেন্ট, আমার ভোটের পাহারাদার।
প্রবাসীদের বিভিন্ন হয়রানি প্রতিরোধ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একজন প্রবাসীর পাসপোর্ট করার সময় থেকে হয়রানি শুরু হয়। বিদেশে গিয়ে বেতন পাওয়া পর্যন্ত এই হয়রানি চলতে থাকে। যারা ভাষা না শিখে বিদেশে যায়, তারা পদে পদে হয়রানির শিকার হয়।
বিজ্ঞাপন
হাসনাত আরও জানান, নির্বাচিত হলে দেবিদ্বারে একটি ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রবাসীরা ভাষা শিখতে পারবেন। পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।







