গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করেছে ইসি: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়ে তাদের হয়ে কাজ করেছে এবং অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করেছে, তারা আওয়ামী লীগের দোসর এবং তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে এই ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের কোনো নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার নেই।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স হলরুমে এনসিপির জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির পরিচিত সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সারজিস আলম এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখনো বলছে তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় এবং যারা তাদের দলের হয়ে নির্বাচন করবে তাদেরকে মনোনয়ন দেবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এনসিপি এটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করবে না।
বিজ্ঞাপন
এনসিপি নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দায়িত্ব পালন করছেন। অভ্যুত্থানের এক বছর তিন মাস পেরিয়েছে। তিনি বাধার সম্মুখীন হতে পারেন, আমরা সেটা জানি না। তবে আমাদের রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশ তার নিজের দেশ এবং কোনো রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা নেই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করুক। কাদা ছোড়াছুড়ি বা অপ্রত্যাশিত কাজ আমরা সমর্থন করব না।
সারজিস আলম আরও অভিযোগ করেন, কিছু পুলিশ সদস্য এখনো টাকার বিনিময়ে নিরপরাধ মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করে। নির্বাচনের কারণে অনেক ওসি, ইউএনও, জেলা প্রশাসক ও এসপিকে পরিবর্তন করা হয়েছে, কিন্তু নতুনদের মধ্যেও পূর্বের মানসিকতা থেকে বের হওয়া যায়নি। সরকার যদি তাদের ওপর আস্থা রেখেছে, তারা সেই আস্থার প্রতিদান দেবে, না হলে আমরা সরাসরি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব।
বিজ্ঞাপন
তিনি সমালোচনা করেন যে, এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রচেষ্টা থাকলেও মাঠ প্রশাসনে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাজনক মানসিকতা এখনও বজায় রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয় কৃষিবিদ গোলাম মুর্তজা সেলিম, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম, সদস্য সচিব মো. খলিলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রায়হান অপু প্রমুখ।








