‘পুরোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের চেষ্টা চলছে’

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার মাধ্যমে পুরোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের চেষ্টা চলছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য দেশে অস্থিরতা তৈরি করা এবং আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ববি হাজ্জাজ বলেন, এটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র ও আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা হতে পারে। হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। চিকিৎসকদের ভাষায় সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম হলেও এখনো সামান্য আশা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশবাসীর একমাত্র করণীয় হলো আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
বিজ্ঞাপন
হামলার পেছনে পুরোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসব শক্তি নতুন কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের পেশিশক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহার করছে। পরিচিত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে, যা আগেই প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সরকার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, এই হামলার মাধ্যমে একটি মহল আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। কারা এই অস্থিতিশীলতা থেকে লাভবান হতে পারে, তা খুঁজলেই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। এখনই শক্ত অবস্থান না নিলে সহিংসতা অন্যদের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রসঙ্গে ববি হাজ্জাজ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা সামনে এসেছে। এ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা হলে আমি বিস্মিত হব না।
বিজ্ঞাপন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ববি হাজ্জাজ বলেন, গত ১২–১৪ মাস ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছি। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ছোট করছি না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সংকটময় সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলানোর মতো সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিবর্তন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে নির্বাচন সামনে থাকায় সময় না থাকলে সেনাবাহিনীকে আরও দৃঢ়ভাবে মাঠে নামাতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ।








