হাদির ওপর হামলার মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা মির্জা ফখরুলের

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যখন দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক সেই সময়ে আবারও দেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ ধরনের সহিংস ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, গত পরশু একটি হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সহিংসতায় জড়াচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও জানান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তার পক্ষ থেকে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি ও দলের নেতাকর্মীরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তারা নতুন করে শপথ গ্রহণ করেছেন—যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার।
বিজ্ঞাপন
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম ইতিহাস স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ বহু বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এর ফলে জাতি হারিয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে সুপরিকল্পিত নৃশংসতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বারবার সেই ত্যাগের কথা স্মরণ করে স্বাধীনতার চেতনাকে আরও দৃঢ়ভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।








