দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এভারকেয়ারে তারেক রহমান

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এর আগে তিনি পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় নেতাকর্মীদের দেওয়া সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

গণসংবর্ধনায় তারেক রহমান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, সন্তান হিসেবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে, সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু সেই মানুষটি যাদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন—আপনাদের, আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না। তাই আজ হাসপাতালের আগে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আরও পড়ুন: ‘তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা সুসংহত করবে’

হাসপাতালে তার আগমনের আগে ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও পৌঁছে যান। এসময় দলের শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন। হাসপাতালের গেটের বাইরে সকাল থেকেই বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে তারেক রহমানকে বহন করা গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার সময় দেখা যায় কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। দলীয় পতাকা ও ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্লোগান সীমিত রাখা হয়েছিল।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রথমে ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর তারেক রহমান মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলিঙ্গন ও কুশল বিনিময় করেন।

আরও পড়ুন: হাদিসহ আন্দোলনের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে: তারেক রহমান

তিনি তার শাশুড়ি, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ফুলের মালা দিয়ে একে অপরকে বরণ করেন।

তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং কিছু সময় যাত্রাবিরতি নিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।