ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে এনসিপির সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র এবং ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আন্দোলনরত ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন, সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে রাজপথে তুলে ধরার এক দৃঢ় প্রতীক।
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে এভারকেয়ারে তারেক রহমান
বিজ্ঞাপন
দুঃখজনক ও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এই ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় যে অগ্রহণযোগ্য বিলম্ব ঘটছে, তা শুধু শহীদ শরীফ ওসমান হাদির পরিবার নয়—সমগ্র জাতির ন্যায়বিচারের প্রত্যাশাকে আঘাত করছে। একটি স্বাধীন দেশে প্রকাশ্য সহিংস হত্যাকাণ্ডের পরও অপরাধীদের ধরতে না পারা এবং বিচার প্রক্রিয়ায় এমন দীর্ঘসূত্রিতা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই আরও গভীর করছে। এর ফলেই জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অনাস্থা বাড়ছে, যা রাষ্ট্র ও আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, এই বিচার বিলম্ব, আসামি গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ার প্রতিবাদে শহীদ শরীফ ওসমান হাদিরই প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চ-এর ব্যানারে শাহবাগে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তা ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও যৌক্তিক প্রতিবাদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই ন্যায়সংগত আন্দোলনের সঙ্গে পূর্ণ সমর্থন, সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করছে। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিবাদ ও আন্দোলনে উপস্থিত হন জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল হক সহ আরো অনেকে।
আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে, শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার বিলম্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া জোরদার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এনসিপি মনে করে, এই বিচার কেবল একজন ব্যক্তির হত্যার বিচার নয়—এটি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের নৈতিক দায়বদ্ধতার পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস আরও সংকুচিত হবে।
আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই—শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া অবিলম্বে ত্বরান্বিত করুন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন এবং প্রমাণ করুন যে এই দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানুষরা বিচারহীনতার শিকার হয় না। ন্যায়বিচারের এই সংগ্রামে এনসিপি আজ, আগামীকাল এবং ভবিষ্যতেও রাজপথে ও জনগণের পাশে থাকবে।








