কোনো মা যেন সন্তান হারা না হয়, এমন দেশ গড়ে তুলবো: টুকু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, কোন মা যেন আর সন্তানহারা না হয় এমন বাংলাদেশ বিশেষ করে এমন সিরাজগঞ্জ জেলা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জকে সন্ত্রাস, মাদক ও যানজট মুক্ত শান্তিময় উন্নয়নের শহর গড়ে তুলব।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড, কৃষি কার্ড ও স্বাস্থ্য কার্ড এবং কৃষিকার্ড প্রদানসহ বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সত্যিকারের কল্যানমুখী রাষ্ট্র গঠন করা হবে। সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল বিগত চারটি নির্বাচন করতে পারিনি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর গণঅভ্যুত্তানের মাধ্যমে আজকে নির্বাচনের সুযোগ হয়েছে। প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি আল্লাহ তায়ালা সহায়ক হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারবো এবং জনগনের ভোটে জয়ী হবো-ইনশাআল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিএনপির ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের মার্কা। তারেক রহমান দেশের আসার পর এটা প্রমান হয়েছে, দেশের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ধানের শীষকে কতটুকু ভালবেসে। এ জন্য দেশে ধানের শীষের জোয়ার ওঠবে। ধানের শীষ জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে তত্বাবধায়ক সরকার সারাদেশে অস্ত্র উদ্ধার করত।
গণঅভুত্থ্যানের সময় যে অস্ত্র লুট হয়েছে বর্তমান সরকার সেই অস্ত্র উদ্ধারসহ কোনরকম অস্ত্র উদ্ধার করে নাই। যারা সন্ত্রাসী করে তাদের গ্রেফতার করে নাই। এ পরিস্থিতি যত বেশি মানুষ ভোট দিতে আসবে তত সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তারপরেও ভয় থেকে যায় এখনো অস্ত্র উদ্ধার হয় নাই। এ জন্য সরকারকে বলব দ্রুত অস্ত্র উদ্ধার করতে করুন। এছাড়ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য তরুন প্রজন্মের ভোটারদের দায়িত্ব নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বাবার লাশ দাফনে বাঁধা, পালিয়ে গেল সন্তান
জামায়াত সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত ধর্ম ভিত্তিক দল। তারা ইসলামকে বিভক্তি করার জন্য দল করে। কোরআনে বলা আছে ধর্মকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যে হাসিল করো না। কিন্তু জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে ভাই ভাইয়ে গোলমাল করে দেশকে বিভাজন করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয় জাতি তাদের কথায় সায় দিবে না। বরং তারেক রহমান যেমন বলছেন, সবাইকে নিয়ে শান্তি ও সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র গঠন করবে- সেই রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
বিজ্ঞাপন
সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আমার স্বপ্ন সিরাজগঞ্জ সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলার। পৃথিবীর উন্নত ও সুন্দর শহরগুলো মধ্যে দিয়ে নদী বয়ে গেছে। তেমনি সিরাজগঞ্জবাসীর সৌভাগ্য সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে কাটাখাল নদী বয়ে গেছে। ইতোপুর্বে মন্ত্রী থাকাকালীন কাটাখালকে অবমুক্ত করাসহ উন্নয়ন করেছিলাম। কিন্তু ১৭ বছরে তাতো হারিয়ে গেছে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে কাটাখালকে সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হবে। যে নদীর দুপাশে মানুষ বয়ে নির্মল বাতাস গ্রহন করতে পারবে। সর্বোপরি সিরাজগঞ্জকে সুশৃঙ্খল, ক্রাইম ফ্রি শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাহলে অটোমেটিক্যালি সিরাজগঞ্জের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ায় বসতঘর পুড়ে ছাই
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সিনিয়র সভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, সাবেক মেয়র মঞ্জুর হাসান মাহমুদ খুশি, মকবুল হোসেন চৌধুরী, শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস, নাজমুল হক তালুকদার রানা, যুগ্ম রাশেদুল হাসান রঞ্জন, ভিপি শামীম খান, নুর কায়েম সবুজ, যুবদলের সভাপতি আলামিন খান, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, আলমগীর আলম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ ও ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীরা।








