লাখো মানুষ ছুটছে খালেদা জিয়ার জানাজায়, অনেকে হাউমাউ করে কাঁদছেন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ছুটছে লাখো মানুষ। হাউমাউ করে কাঁদছেন অনেকেই।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মানুষ প্রিয় নেত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে একত্রিত হচ্ছে। ভোলা দৌলতখান থেকে লঞ্চে করে নেতাকর্মীরা সদরঘাটে এসে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পথে রওনা দিয়েছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আবেগে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মরদেহের পাশে বসে কোরআন তিলাওয়াত করেছেন তারেক রহমান। মরদেহটি বর্তমানে জানাজাস্থলে পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘গর্ব করে বলবো, আমরা খালেদা জিয়ার কর্মী’
বিজ্ঞাপন
আজ সকাল সোয়া ৯টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান নিয়ে আসা হয় খালেদা জিয়ার মরদেহ। গুলশানে ১৯৬ নম্বর বাসে পৌঁছে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সদস্য, স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা পান। পাশেই রয়েছে ফিরোজা নামের বাড়ি, যেখানে দীর্ঘদিন তিনি বসবাস করতেন।
আজ দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সংসদ ভবন এলাকা ও আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে মানুষ জড়ো হচ্ছেন। ইতোমধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধ এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘উনার মুখের ভাষা আর অন্তরের ভাষা ছিল এক’
বিজ্ঞাপন
খালেদা জিয়াকে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের আয়োজন সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ৮০ বছর বয়সে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।








