১৯৮১ বনাম ২০২৫: ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার জানাজা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে ইতোমধ্যেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সাধারণ মানুষ থেকে দলের নেতা-কর্মী, সব শ্রেণিপেশার মানুষ এই শোকাবহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। বিপুল ভিড় সামলাতে এবং জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, জানাজা শেষে সংসদ ভবনের পেছনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে। এই অবস্থান ও প্রক্রিয়ায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই, কারণ প্রায় ৪৪ বছর আগে—১৯৮১ সালের ২ জুন—সেই একই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লাখো মানুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ওই বছরের ২ জুন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, এরপর সংসদ ভবনের উত্তর পার্শ্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। সেই সময়ের লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের দৃশ্য ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
৪৪ বছর পর একই স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার জানাজা। স্বামীর মৃত্যুই বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে টেনে আনে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি বিএনপির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিন দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
১৯৮১ সালের ঢাকার জনসংখ্যা বর্তমানের মতো বড় ছিল না, তবু রাষ্ট্রপতির জানাজায় লাখো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিলেন। এবার একই স্থানে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রাচীন ও বর্তমান ইতিহাসের মধ্যে চমৎকার তুলনা সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আবেগ, নেতা-কর্মীর শ্রদ্ধা, এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে এই মিলনই খালেদা জিয়ার শেষযাত্রাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।








