স্ত্রীর প্রশংসা করা প্রিয় নবীর (সা.) সুন্নত

একে-অপরের একান্ত আপনজন হলেন স্বামী-স্ত্রী। তাদের সম্পর্ক এতটাই কাছের যে পবিত্র কুরআন শরীফে তাদের একজনকে অপরজনের শরীরের পোশাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পোশাক যেভাবে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে, ঠিক তেমনি স্বামী-স্ত্রীও একে-অপরের সঙ্গে লেগে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
স্বামী-স্ত্রীর নিবিড় এই সম্পর্ক বোঝাতে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের জন্য পর্দাস্বরূপ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০)
বিবাহিত জীবনের সম্পর্ক আরও গভীর ও নিবিড় হয় একে-অপরের সঙ্গে মন খুলে ভালোবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে এবং ভালো গুণের প্রশংসার মাধ্যমে। মুমিনের জীবনের প্রতিটি দিনের মতো স্ত্রীর প্রতিটি ভালো গুণ এবং ভালো কাজের প্রশংসা করার শিক্ষা দিয়েছেন প্রিয় নবী (সা.)। প্রিয় নবীর শিক্ষা অনুসারে স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নত।
বিজ্ঞাপন
মহানবী (সা.) নিজ মুখে স্ত্রীর প্রশংসা করতেন। তার এই সুন্দর গুণটির সাক্ষী তাঁর স্ত্রী নিজেরাই। এ বিষয়ে হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিঁনি বলেন—
‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের মধ্য থেকে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।
এছাড়া রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওহীর মাধ্যমে তাঁকে [খাদিজা (রা.)] জান্নাতের মধ্যে একটি মতির প্রাসাদের সুসংবাদের খবর জানানো হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫২২৯; মুসলিম, হাদিস : ২৪৩৯)
বিজ্ঞাপন
অন্য হাদিসে হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)।