শহীদ হাদির মৃত্যু সৌভাগ্য, বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শহীদ শরিফ ওসমান হাদি শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শরীফ ওসমান হাদির এমন মৃত্যু সৌভাগ্যবান বলে জানিয়েছেন ইসলামি বক্তা, ধর্ম প্রচারক ও লেখক মিজানুর রহমনা আজহারী। বুধবার বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান আজহারী।
তিনি তার পোস্টে বলেন, ‘দ্রোহের প্রতীক— শহীদ ওসমান হাদির রাজকীয় বিদায়। ধূমকেতুর মতো এলেন। ন্যায় ও ইনসাফের বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে গোটা জনপদে বিপ্লবের দাবানল ছড়িয়ে হঠাৎ রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন। নিশ্চয়ই আসমানে আমার ভাইকে এর চাইতেও বড় রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানোর আয়োজন চলছে।’
বিজ্ঞাপন
মিজানুর রহমান আজহারী আরও বলেন, ‘জুমার নামাজের পরপরই গুলিবিদ্ধ, আবার পরের জুমার রাতেই শাহাদাত বরণ! পেয়েছেন কোটি মানুষের কান্না মিশ্রিত দুআ। সুবহানাল্লাহ! এ এক পরম সৌভাগ্য!’
তিনি বলেন, ‘হাদির মতো এমন দেশপ্রেমিক, আধিপত্যবাদ-বিরোধী ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন তরুণরা-ই আগামীর বাংলাদেশ। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ইনশাআল্লাহ ওসমান হাদি বেঁচে থাকবেন সহস্র মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসায়। অনুপ্রেরণা জোগাবেন প্রজন্ম হতে প্রজন্ম। সাহসের বাতিঘর হয়ে থাকবেন অগণন মানুষের হৃদয়ে।’
আরও পড়ুন: ড্রেসিং করা হাঁস-মুরগি খাওয়া কি জায়েজ
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার সকালে হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়, যেখানে গোসল ও শেষ প্রস্তুতির পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মিছিলের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
সকাল থেকেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বেলা একটার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, বিজয়স্মরণী ও আসাদগেট এলাকায় হাজার হাজার মানুষ ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—সহ নানা স্লোগান দিয়ে অংশগ্রহণ করেন।








