খুলনাকে হারিয়ে বিপিএল শেষ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স

সিলেট স্ট্রাইকার্স চলতি বিপিএলের শুরুটা খুব ভালো করতে পারেনি। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে-অফ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল গত আসরের রানার্স আপরা। তবে পরের ছয় ম্যাচের মধ্যে তিনটি জয় তুলে নেয় মিঠুন-শান্তরা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনাকে ছয় উইকেটের বিশাল ব্যবাধানে হারিয়ে বিপিএলের দশম আসর শেষ করেছে মিঠুনের দল।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সিলেটের অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শান্ত-মিঠুনদের ১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বিজয়-আফিফরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফলে চার জয় নিয়ে সিলেট এবং পাঁচ জয় নিয়ে এবারের আসর শেষ করল খুলনা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট দল। ৩ বলে ডাক মেরে জাকির আউট হলে, ৬ বল খেলে ০৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কেনার লুইস। এরপর ইয়াসির আলীকে সাথে নিয়ে সিলেট শিবিরে হাল ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত।

আরও পড়ুন: প্লে-অফের খেলা দেখতে খরচ করতে হবে বাড়তি টাকা

এই দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৩৭ বল খেলে ৩৯ রান করে শান্ত ফিরে গেলে ইয়াসিরকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মিঠুন। ৪৩ বলে ৪৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন ব্যাটার ইয়াসির।

শেষ পর্যন্ত বেনি হাওয়েলের ৫ বলে ১২ রান এবং মিঠুনের ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে দুই ওভার ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট দল।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে নাহিদুল ইসলাম, ওয়েন পারনেল, জেসন হোল্ডার ও আরিফ আহমেদ একটি করে উইকেট তুলে নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে এনামুল হক বিজয়ের দল। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি এনামুল হক বিজয়। ৯ বলে ১০ রান করে কিল্ন বোল্ড আউটের শিকার হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেনি হাবিবুর রহমানও। ১৪ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন এই ব্যাটার।

আরও পড়ুন: বিপিএলের প্লে-অফে কে কার মুখোমুখি হবে, একনজরে সূচি

হাবিবুরের পরপরই ১২ বলে ১১ রান করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৩১ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৩৫ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি।

৬ বলে ৮ রান করে জেসন হোল্ডার আউট হলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় এনামুলরা। এরপর খুলনা শিবিরে দায়িত্ব নেন ওয়েন পারনেল। ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত আরিফ আহমেদের ৪ রান এবং রুবেলের ১০ বলে ৬ রানে ভর করে আট উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় খুলনা টাইগার্স।

এমএল/