৯৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন দুই কিউই ওপেনার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে চলমান তৃতীয় ও শেষ টেস্টে দাপুটে শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই রেকর্ড গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা।
বিজ্ঞাপন
ওপেনিংয়ে নেমে জোড়া সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৯৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে।
প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৯০ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৪ রান। এর মধ্যে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৩২৩ রান—যা গত ৯৫ বছরে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ১৯৩০ সালে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টুয়ি ডেম্পস্টার ও জ্যাকি মিলসের করা ২৭৬ রানের জুটিই ছিল সর্বোচ্চ।
ল্যাথাম–কনওয়ের এই জুটি শুধু ঘরের মাঠেই নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসেও ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। এতদিন এই রেকর্ড ছিল ভারতের রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের (৩১৭ রান) দখলে।
নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে ওপেনিংয়ে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৭২ সালের পর কিউইদের আর কোনো ওপেনিং জুটি ৩০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম ১৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ১৩৭ রানে। ২৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ১৫টি চার ও একটি ছক্কা। অপরদিকে ডেভন কনওয়ে ছিলেন আরও দুর্দান্ত—২৭৯ বলে ১৭৮ রান করে দিন শেষে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ২৫টি চার।
দলীয় ৩২৩ রানে ল্যাথামকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একমাত্র সাফল্য এনে দেন কেমার রোচ। এরপর কিউইরা নাইটওয়াচম্যান হিসেবে পেসার জ্যাকব ডাফিকে নামায়, যিনি দিন শেষ করেন ৯ রানে অপরাজিত থেকে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড এই সিরিজ দিয়েই নতুন চক্র শুরু করেছে। উল্লেখ্য, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ল্যাথাম–কনওয়ের ৩২৩ রানের জুটি ওপেনিং পার্টনারশিপে ১২তম সর্বোচ্চ।
টেস্টে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি ও গ্রায়েম স্মিথের—২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪১৫ রান। চারশ ছাড়ানো আরও দুটি ওপেনিং জুটি রয়েছে, ১৯৫৬: ভিনু মানকাদ–পঙ্কজ রায় (৪১৩), ২০০৬: বীরেন্দর শেবাগ–রাহুল দ্রাবিড় (৪১০)।








