পেকুয়ায় ভোগান্তিতে দুই ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষ

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া-রাজাখালী সংযোগ ব্রিজের কাজ প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, রাজাখালী-মগনামা উপকূলীয় সড়কের উপর মাতামুহুরী শাখা নদীর টইনের খালের ওপর ৪০.০৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩ মিটার প্রস্থের একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এলজিইডি এ প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করলে ‘মেসার্স আবুল কালাম আজাদ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৭ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় কাজের দায়িত্ব পায়।
এরপর ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলা হয় এবং বিকল্প হিসেবে পাশের খালের ওপর ডাইভারশন সড়ক নির্মাণ করা হয়। তবে দীর্ঘদিনেও অল্প কিছু কাজ শেষ হওয়ার পর ছয় মাস আগে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, পাইলিং কাজের সময় পড়ে গিয়ে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হওয়ার পর থেকে কাজ আর এগোয়নি। এরপর থেকে ঠিকাদারও গা-ঢাকা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশে পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলেও আর কোনো অগ্রগতি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বারবাকিয়া নোয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা ও ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, আড়াই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সামান্য কাজ করে ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। এতে হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাজাখালী টেকঘোনা পাড়ার বাসিন্দা আবু ছিদ্দিক বলেন, ব্রিজের কারণে মানুষের কষ্ট বেড়েই চলছে। দ্রুত কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে শুধু বারবাকিয়া-রাজাখালীর মানুষই নয়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ছনুয়া ও আশপাশের ইউনিয়নের মানুষও যাতায়াত করে। কাজ বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ইউপির সদস্য মাহবুল আলম বলেন, এই ব্রিজটি এখন মানুষের দুর্ভোগের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম বদিউল আলম জিহাদি বলেন, এটি দুই ইউনিয়নের মানুষের জন্য একমাত্র সংযোগ সেতু। কাজ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার প্রকৌশলী সৌরভ দাশ বলেন, আগের ঠিকাদারকে বাতিল করে জরিমানা করা হয়েছে। নতুন টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।








