মৌলভীবাজারের হাওরে নির্বিচারে মৎস্য নিধন, সংকটে হাওরপাড়ের জেলেরা

নানা সংকটে দিন পাড় করছেন মৌলভীবাজারের কাউয়াদিঘি হাওর পাড়ের মৎসজীবিরা। বর্ষায় কারেন্ট ও সুতো জালের অবাধ বিস্তার আর শুকনো মৌসুমে বৈধ অবৈধভাবে বিলে মাছ শিকারের ফলে পরিবেশ হারাচ্ছে ভারসাম্য।
বিজ্ঞাপন
মৎসজীবী ও হাওর পাড়ের মানুষের অভিযোগ আগে প্রশাসন ৩ বছর পর পর বিল ইজারা হতো কিন্তু এখন প্রতি বছর কাসকালেকশন দেয়ায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতীর মাছ।
জানা যায়, হাওর পরিবেষ্ঠিত মৌলভীবাজারের মধ্যে মৎস ভান্ডার খ্যাত কাউয়াদিঘি হাওরে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। এক সময় মৎসজীবী সম্প্রদায় জীবন জীবিকার প্রয়োজনে মাছ আহরণ ও বিক্রি করে সারা বছরের চাহিদা মিটাতেন। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত। অভিযোগ উঠেছে বছর বছর বিল ইজারা ও কাশকালেকশন নিয়ে না নিয়ে সুতোও কারেন্ট জাল ব্যবহার এবং শুকনো মৌসুমে বিল সেচে মাছের বংশ বিস্তার নষ্ট করে দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে হাজারো মৎস্যজীবীর তালিকা থাকলেও সেখানে বিল ইজারা নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র মৎস আইনের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে বিল লীজ নিয়ে না নিয়েই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নানা প্রক্রিয়ায় মাছের প্রজননকে বাধা গ্রস্থ করছে। এদিকে বিগত বছর দশ এক আগে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হতো কিন্তুু বর্তমানে এসব বিল নামকাওয়াস্তে টাকায় ইজারা নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে মৎস আইন অনুযায়ী বহুল প্রচার করার নিয়ম থাকলে নাম সর্বত্র প্রচার প্রচারণা করে গোপনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চক্র পবিবেশর বিরুপ প্রভাব ও বিপুল রাজস্ব আয় বঞ্চিতসহ মাছ শুন্য এবং বংশ বিস্তারে মহা সংকটে পড়বে মাছের।
মৎসজীবী কয়েকজন জানান চলতি বছর হাওরে মাছের উৎপাদন কম হওয়ায় মিলছেনা আশানুরূপ মাছ, একইঙ্গে মাছ ধরতে সময়ে সময়ে বাঁধা প্রদান করেন ইজারাদাররা। ফলে নানা সংকটে সংসারে টানপোড়েন দেখা দেয় জল ও জালের সঙ্গে সংগ্রাম করা এসব প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ করে বলেন, শুকনো সময় মাছ ধরতে হাওরের বিল সেচা হয়। আর গাঙ ও নদীর উজানে দেয়া হয় বিষ। বর্ষাতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ ধরতে মত্ত থাকে একটি চক্র। ওই চক্রটি মাছের সঙ্গে জালে উঠে আসা সাপ, ব্যঙ্গ, কাঁকড়া, কাছিম ও শামুকসহ নানা জাতের জলজ প্রাণী ডাঙায় ফেলে দেয়ায় তারা ধ্বংস হচ্ছে।
হাওর পাড়ের ঘাটে আসা কয়েকজন ব্যবসারা জানান, বিগত ১৫-২০ বছর ধরে সিন্ডিকেট চক্রের কারণে হাওরের বিলের ইজারা কমে অধেকে নেমেছে। সেখানকার মৎসজীবীদের তালিকা অনুয়ায়ী কাড আছে কিন্তু সরকারি সুযোগ সুধিবা পায়না। ফলে সেখানকার মানুষের জীবন জীবিকায় এর প্রবাব পড়ছে। পাশাপাশি এভাবে চলতে থাকলে ভর্বিষতে মৎসভান্ডারের এই বিশাল অঞ্চল মহা সংকটে পরবে।
মৌলভীবাজার মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো আরিফ হোসেন সত্যতা শিকার করে বলেন, ইজারার শর্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকারে কোন বাঁধা নেই মৎসজীবীদের। তবে বর্ষায় ভরা মৌসুমে এক শ্রেণির ইজারাদার ও মৎসজীবীরা সুতো ও কারেন্ট জাল দিয়ে শুকনো মৌসুমে বিলে সেচ দিয়ে মাছের বংশ বিস্তারের ধবংস করে দিচ্ছে। প্রয়োজনয়ী ব্যবস্থা নেবেন।