নিজ এলাকায় জোনায়েদ সাকিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে বাঞ্ছারামপুর সচেতন মহিলা সমাজের ব্যানারে জোনায়েদ সাকিকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে উপজেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
দুপুরের পরপরই বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে মহিলারা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জড়ো হতে থাকে। পরে জোনায়েদ সাকিকে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, সমকামিতা সমর্থক এবং ভন্ড আখ্যা দিয়ে ঝাড়ু মিছিল করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় হাজেরা বেগম নামে জনৈক মহিলা বলেন, বাঞ্ছারামপুর অলি আউলিয়ার পূণ্যভূমি। এখানে কোন নাস্তিকের জায়গা হবে না। জোনায়েদ সাকি স্বঘোষিত নাস্তিক। তিনি ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ। বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে তার কোন জায়গা হবে না। বাঞ্ছারামপুরের নারী সমাজ তাকে প্রতিহত করবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ জনগণ ও আলেম সমাজের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জোনায়েদ সাকির বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদ ও সমকামিতার অভিযোগ এনেছেন। তারা বলেন, “বাঞ্ছারামপুরে কোনো বহিরাগত, সমকামী বা নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবে না। এখানকার জনগণ তা কখনও মেনে নেবে না।”
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না, তাদের এই এলাকায় রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা নেই। এমন একজন ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।”
বক্তারা আরও অভিযোগ করেছেন, “জোনায়েদ সাকি আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। এমন একজন সুবিধাভোগীকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিলে তার জামানতও থাকবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী এই এলাকায় কোনো ‘নাস্তিক’ বা বিতর্কিত ব্যক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।”
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভের বিষয়ে জুনায়েদ সাকির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তাকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, জোনায়েদ সাকি পূর্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন। জন্মসূত্রে তিনি নোয়াখালীর বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন। তবে এবার তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।