ঘোড়াঘাটে খাদক প্রতিযোগিতা

ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, সাপ খেলা, পাতা খেলাসহ দেশে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলা রয়েছে। তবে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খেলা, নাম তার খাদক (হাঙর) খাওয়ার প্রতিযোগিতা। এই ভিন্নধর্মী খেলা দেখতে হাজারো দর্শকের ভিড় জমে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ঘোড়াঘাট পৌর শহরের ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। এতে ৯ জন খাদক অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম বিজয়ী পান একটি ছাগল, দ্বিতীয় বিজয়ী একটি রাজহাঁস এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল একটি মোবাইল ফোন।
খেলার মাঠে আয়োজকরা প্রতিযোগীদের জন্য নির্ধারিত সময় দেন ১৫ মিনিট। এ সময়ের মধ্যে ভাত, গরুর মাংস, ডাল ও ডিম খেয়ে শেষ করতে হয়। ৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সুলতান প্রথম, রাজিব দ্বিতীয় ও স্বাধীন তৃতীয় হন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা খাবার শেষ করে বিজয়ী হন।
বিজ্ঞাপন
এই ব্যতিক্রম আয়োজন দেখতে মাঠে শতশত নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধরা ভিড় করেন।

স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া রাজি বলেন, এমন খেলা এই প্রথম দেখলাম। দেশে অনেক খেলা আছে, কিন্তু এই ধরনের খেলা আগে কখনও দেখিনি। দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।
আতোয়ার, বেলায়েক ইসলাম, বেলাল হোসেনসহ অনেক দর্শক বলেন, এতো অল্প সময়ে এত খাবার খাওয়া যায়। এটা আজ প্রথম দেখলাম। এই উপজেলায় এমন খেলা আগে কখনও হয়নি। চাই, প্রতিবছর এমন আয়োজন করা হোক।
বিজ্ঞাপন
প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত সুলতান হোসেন বলেন, আজ প্রথম হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খাওয়ার প্রতি আমার প্রচুর ভালোবাসা আছে, সব ধরনের খাবার খুব দ্রুত খেয়ে শেষ করতে পারি। এখানে আরও খাবার দিলেও খেয়ে ফেলতে পারতাম।
আয়োজক নূর মোহাম্মদ রিমন বলেন, আমাদের এলাকায় বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা থাকে। তবে আমরা একটু ভিন্নধর্মী কিছু করতে চেয়েছি। ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে গত ২৩ তারিখ থেকে ওয়ার্ডভিত্তিক খাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করি। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজনকে বিজয়ী করে আজ ৯ জনের মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। নির্দিষ্ট ১৫ মিনিটে যে সবার আগে ভাত, গরুর মাংস, ডাল ও ডিম শেষ করবে তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তার মিলন বলেন, আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। এই প্রথম উপজেলায় এমন ভিন্নধর্মী খেলার আয়োজন হয়েছে। বিজয়ীদের ‘খাদক বা হাঙর’ নাম দেওয়া হয়েছে, যা বেশ সুন্দর। খেলাটি উপভোগ করেছি।
ঘোড়াঘাটবাসীর প্রত্যাশা এমন ব্যতিক্রমধর্মী খেলার আয়োজন যেন প্রতিবছরই করা হয়।








