Logo

এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৃহবন্দী করে রাখা হলো পুরো পরিবার!

profile picture
বিশেষ প্রতিবেদক
যশোর
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪:১৯
5Shares
এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৃহবন্দী করে রাখা হলো পুরো পরিবার!
ছবি: সংগৃহীত

সেলিম হুসাইন রনি: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সারওয়ারের ‘ইশারায় সক্রিয় সন্ত্রাসী চক্রের’ হামলা ও হুমকি থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিমুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম পল্লব (৪০)। তিনি একই এলাকার মো. সোহরাব হোসেনের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রবিবার (২ নভেম্বর) করা অভিযোগপত্রে পল্লব দাবি করেন, ১৭নং রাজাপুর মৌজার ৭.৮০ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলায় আদালত তার পরিবারের পক্ষে প্রাথমিক, চূড়ান্ত এবং চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি দিয়েছেন। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় তৃতীয় পক্ষ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলা প্রত্যাহার না করায় গত ১৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় ১৫–২০ জন সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করে এবং জমিতে যেতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে এক সপ্তাহ ধরেই তৃতীয় পক্ষরা পরিবারের ওপর নজরদারি ও হুমকি দিয়ে তাদের গৃহবন্দী করে রাখে। খবর পেয়ে থানার ওসি এসে তাদের মুক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

পল্লব অভিযোগ করেন, জমি ও হামলার বিষয়ে তিনি একাধিকবার ইউএনও অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করলেও তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসিল্যান্ড নাভিদ সারওয়ারকে। তার দাবি, এসিল্যান্ড ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অভিযোগ ‘ধামাচাপা’ দেন এবং একপর্যায়ে তাকে মামলাগুলো প্রত্যাহারের পরামর্শ দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাবেক এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাদীরা আদালতে মামলা করার পর থেকে তৃতীয় পক্ষের হামলাও বেড়ে যায়।

জেলার রাজস্ব ডেপুটি কালেক্টর বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দিলেও ইউএনও ভুপালী সরকার বদলির আগে প্রশিক্ষণে থাকাকালে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন এসিল্যান্ড নাভিদ সারওয়ার। পল্লব অভিযোগ করেন, সেই সুযোগে এসিল্যান্ড নিজেই জেলা প্রশাসকের কাছে ‘তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল’ করেছেন বলে দেখিয়ে পুরো ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বিজ্ঞাপন

শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল কবির বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এবং মামলার সংক্রান্ত কোন বিষয়ে বাদির সাথে আমার কোন কথা বার্তা হয়নি। আপনারা বিগত ২ তারিখের বিষয়ে আমাকে যে অবগত করেছেন ওটার বিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না। তবে ঘটনার বিষয়ে বাদি মনে হয় সাবেক যিনি ছিলেন তাকে ইঙ্গিত করেছেন।”

অভিযোগ বিষয়ে এসিল্যান্ড নাভিদ সারওয়ার বলেন, “এধরনের বিষয় নিয়ে আমি অবগত নই। আর আমি এই ধরনের কোন নিদের্শনা দিয়েছি এই ধরনের অভিযোগে সঠিক নয়। কারা মাছ ধরেছে এবং হামলা করেছে এই বিষয়ে আমি অবগত নই। তারা কারা তাদের নাম দেন।”

বিজ্ঞাপন

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় বিগত ২৭/০৮/২০২৫ইং তারিখে ইউএনও অফিসে ৩জনের নাম সহ ১০-১৫জনকে অজ্ঞাত করে মাছলুট ও জানমালের হুমকির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগে দায়ের করেছেন পল্লব।

ইউএনও মোছা. রনী খাতুন বলেন, “যেহেতু মামলা চলমান রয়েছে এ বিষয়ে কোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ও প্রচলিত আইন মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, “ইউএনও, এসিল্যান্ডের নিকট প্রতিবেদন চেয়েছি। ইউএনও, এসিল্যান্ড সাহেব যেটা জানিয়েছেন, যে জমিটা নিয়ে ওখানে মামলা চলমান আছে। চলমান মামলা যেখানে থাকে সেখানে সেই বিষয়ে আমাদের কোন মন্তব্য থাকে না। আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।”

জেবি/এমএল
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD