Logo

চলনবিলে কচুরিপানা এখন কৃষকদের বুকে কাটা

profile picture
উপজেলা প্রতিনিধি
নাটোর
২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১৫:২৫
17Shares
চলনবিলে কচুরিপানা এখন কৃষকদের বুকে কাটা
ছবি: প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া চলনবিলের কচুরিপানা এখন কৃষকদের বুকের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, না পারছে রোধ করতে, না পারছে ধ্বংস করতে।

বিজ্ঞাপন

কচুরিপানা যদিও এক সময় আমাদের অঞ্চলের খাল বিলে দীর্ঘ সময় ধরে ভরে থাকতে দেখা গিয়েছে, কারণ তখন মাছ চাষের প্রচলন তেমন ছিল না কিন্তু যখন থেকে মাছ চাষের প্রবণতা বেড়ে গেল।

তখন থেকে মাছ চাষিরা নানা উপায়ে কচুরিপানা খাল, ডোবা পরিত্যক্ত পুকুর, বা জলাশয় থেকে তুলে পরিস্কার করে মাছ চাষ শুরু করে দেয়, কারণ কচুরিপানা মাছ চাষের জন্য বড় সমস্যা দ্রুত বংশ বিস্তার করে ভরে যায়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু চলনবিলের যেহেতু কোনো পাড় নেই, বরঞ্চ খোলামেলা, যার জন্য বন্যার পানি বিলে অবাদে প্রবেশ করে এবং চলমান থাকে। উজানের পানি বিভিন্ন নদী হয়ে চলনবিলে প্রবেশ করে এবং স্রোত ধারা হয়ে বয়ে যায় যমুনা নদীতে।

এমন ধারাবাহিক পানির চলাচল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে উজান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভেসে আসছে কচুরিপানা যা চলনবিলের কৃষকদের বুকের কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে।

এত পরিমানে কচুরিপানা আসছে যা অবিশ্বাস্য। এক সময় দেখা গিয়েছে চলনবিলের কৃষকরা ইরি, বোরো ধান চাষ করে কেটে নেওয়ার পর আবার বন্যার পানি আসার আগে আমন ধান রোপন করত এবং অতি অল্প খরচে ধান চাষ করা সম্ভব হত।

বিজ্ঞাপন

কারণ পানি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেত যার জন্য কোন সমস্যা হতো না কারণ ধান গাছ পানির বৃৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে উঠে সমতা বজায় রাখত। কিন্তু দুঃখের বিষয় কচুরিপানার কারণে চলনবিলের কৃষকরা আর আমন ধান রোপন করতে পারে না।

কচুরিপানা ভেসে এসে ধানের উপরে উঠে যায় এবং ধান গাছ তলে পড়ে মারা যায়। যার জন্য আমন ধান রক্ষা করা সম্ভব হয় না, সেজন্যই আমন চাষ বন্ধ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এমন কি এখন কচুরিপানা পরিস্কার করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়, যে কারণে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

চলনবিলের কৃষকদের একটাই দাবি সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে যেন কচুরিপানা নির্মূল বা ধ্বংস করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তাছাড়া কৃষকরা অতিরিক্ত ব্যয় রোধ ফসলের পরিবর্তে জমি এস্কেভেটর (ভেকু) দ্বারায় খনন করে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করলে ফসল উৎপন্ন কমে যাবে। কারণ পুকুরের উচু পাড় থাকলে কচুরিপানা প্রবেশ করতে পারবে না তখন সহজেই মাছ চাষ করা সম্ভব হবে।

এমন মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা অমঙ্গল সংকেত কারণ তাতে শস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে শুধু মৎস্য ভাণ্ডারে পরিণত হবে। তাতে দেশে খাদ্য ঘাটতি বেড়ে যেতে পারে। এমনিতেই খাদ্যের ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় তার উপর যদি ফসলের জমি খনন করে পুকুর করা হয় তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে হিমশিম খাবে এবং খাদ্যের অভাব প্রখর আকার ধারণ করতে পারে। এমতাবস্থায় সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। তাতে কৃষক বাঁচবে এবং ধান চাষ ষোল আনা অটুট থাকবে।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD