রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, মা-ছেলে আটক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে অবৈধ পথে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক মা-ছেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পাটগ্রাম থেকে আটক পাচারকারীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য রিপন মিয়াকে (১৮) আটক করেছে বিজিবি রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) আওতাধীন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পানবাড়ী বিওপি।
আরও পড়ুন: নিমিষেই ৩৫ দোকান পুড়ে ছাই
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট বিজিবি জানায়, টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার কানুর বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মমতা হালদার ও তার ছেলে হৃত্তিক হালদারকে বিকেল শুক্রবার বিকেল ৩টায় এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ভারতের শিলিগুড়িতে অসুস্থ দাদিকে দেখার উদ্দেশ্যে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে মানবপাচারকারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
আটককৃতরা জানান, পাঁচজন পাচারকারী চক্রের সদস্য এর সাথে জড়িত। এই তথ্যের ভিত্তিতে পানবাড়ি বিওপির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দহগ্রামের পাবনাপাড়া নামক স্থান থেকে রিপন মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয়। রিপন মিয়া উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মো. রোহিদুলের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মেইন পিলার ৮১২ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাকে আটক করা হয়। আটক রিপন অবৈধ অনুপ্রবেশে সহায়তার কথা স্বীকার করেছে।
এ সময় চক্রের অন্য চার সদস্য, মো. আজিজুল (২৫), নবিউল (৩০), হাপ্পি (২৮) এবং বেল্লাল হোসেন (৩৫) পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত সবাই পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বঙ্গের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রংপুর (৫১ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন বলেন, রংপুর (৫১ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার, নজরদারি বৃদ্ধি, চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান নিরোধ এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ ও পুশইন রোধে টহল তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আটক পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদেরকে তাদের মালামালসহ পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়েরপূর্বক হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে, পলাতক চারজন আসামির বিরুদ্ধেও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।








