১৬ বছর ধরে ঝুলে থাকা বড়পুকুরিয়া সমঝোতা চুক্তি, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর করা সমঝোতা চুক্তি ১৬ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এর ফলে খনির আশপাশের অন্তত দশটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভূমিধস, ঘরবাড়িতে ফাটল, নিরাপদ পানির সংকটসহ নানামুখী বিপদের মধ্যে বসবাস করছেন।
বিজ্ঞাপন
২০০৯ সাল থেকে খনিতে ভূগর্ভস্থ কয়লা উত্তোলনের প্রভাবে বড়পুকুরিয়া অঞ্চলে একের পর এক জমি দেবে যাচ্ছে। স্থানীয়দের ঘরবাড়ি, রাস্তা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০০৯ সালে খনি কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীর মধ্যে ১০ দফা সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল। সেখানে ছিল ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরির নিশ্চয়তা, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং একটি উন্নত মাইনিং সিটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ১৬ বছর পেরোলেও প্রতিশ্রুতির একটিও বাস্তবায়িত হয়নি।
বিজ্ঞাপন
তিনি অভিযোগ করেন, খনি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সীমার বাইরে এসে গোপনে কয়লা উত্তোলন করছে, যা ভূমিধসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে। দাবিগুলো পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন ও খনি বন্ধের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু তালেব ফারাজী বলেন, ওই সময় চুক্তি বিষয়ক সব তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে কোনো নির্দেশনা না আসায় পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তিনি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
বিজ্ঞাপন
১৬ বছরের অপেক্ষা এবং অমীমাংসিত অভিযোগগুলোকে ঘিরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ভীতি ও অনিশ্চয়তা। স্থানীয়দের আশা, দীর্ঘদিনের দাবিগুলোর দ্রুত সমাধান হবে এবং নিরাপদ পরিবেশে তাদের বসবাসের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।








