Logo

কিস্তির টাকা না পেয়ে হাঁস নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী

profile picture
জেলা প্রতিনিধি
বরিশাল
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৭:২৮
15Shares
কিস্তির টাকা না পেয়ে হাঁস নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মী
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, হাঁসটি তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের শখ করে পালন করা ছিল।

হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। তাঁর অভিযোগ, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর মাঠকর্মীরা কিস্তির টাকা না পেয়ে তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি ধরে নিয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফিজা খানম টিএমএসএসের সদস্য। চলতি বছরের শুরুতে তিনি ওই এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নেন এবং প্রতি সপ্তাহে এক হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন তাঁর বাড়িতে যান। ওই সময় হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন জানিয়ে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ করেন। তবে মাঠকর্মীরা অনড় অবস্থান নেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, একপর্যায়ে উঠানে হাঁস-মুরগি দেখে মাঠকর্মী ফিরোজ খান টাকার বদলে হাঁস দেওয়ার দাবি করেন। হাফিজা এতে রাজি না হয়ে পাশের বাড়িতে চলে গেলে, তাঁর অনুপস্থিতিতে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান মাঠকর্মীরা।

হাফিজা খানম বলেন, “আমি শুধু একটি কিস্তির টাকা পরের সপ্তাহে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমি বাড়িতে না থাকতেই উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। হাঁসটির দাম দেড় হাজার থেকে ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের শখের হাঁসটি আমি ফেরত চাই।”

বিজ্ঞাপন

উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তাছাড়া টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এনজিওটি আমাদের উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এখানে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।’

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টিএমএসএসের মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘কিস্তির টাকার বদলে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।’

তবে টিএমএসএসের ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে—এই উদ্দেশ্যে আমাদের মাঠকর্মী দাম ধরে হাঁস কিনে এনেছেন। এতে অপরাধের কিছু নেই।’

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেবি/এসডি
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD