শ্রীনগরে খিচুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে রেস্টুরেন্টে ফাঁকা গুলি

শ্রীনগরে খিচুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে রেস্টুরেন্টে ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীনগর-দোহার সড়কের কয়কীর্ত্তণ এলাকায় খিচুড়ি ঘর নামক রেস্টেুরেন্টে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
রেস্টুরেন্টের প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, সোমবার শ্রীনগর থেকে ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে ৩ প্যাকেট খিচুড়ি পার্সেল নেয় এক ব্যক্তি। টাকা পরিশোধের সময় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ৪৫০ টাকা দাম থেকে ৫০ টাকা কম রাখেন। তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে ক্রেতা উচ্চবাচ্য করে চলে আসেন।
পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে যায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি দেউলভোগ সবুজ হাটির সাদ্দাম হোসেন (৪০), উপজেলা যুবদল আহবায়ক কমিটির সদস্য বাবু মোল্লা (৩৬) ও জাকির মোল্লাসহ (৩৮) বেশ কয়েকজন। সেখানে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দামের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে উপর দিকে ফাঁকা গুলি করে। এতে মূহুর্তের মধ্যে সেখানে আতংক ছড়িয়ে পরে।
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই সাদ্দাস ও বাবু মোল্লা তাদের লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় উপজেলার দেউলভোগ গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে বুলেট (৩৫) বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি যুবদলের কর্মী। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় সাদ্দাম তার লোকজন নিয়ে খিচুড়ি ঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে তাকে মারধর করে ও পিস্তল সাদৃশ্য দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা আসলে তারা পালিয়ে যায়।
শ্রীনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। শ্রীনগর থানার ওসি তদন্ত মিল্টন দত্ত ফাঁকা গুলির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।








