ঘন কুয়াশায় ব্যাহত ব্রাহ্মণপাড়ায় ধান শুকানো, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

শীতের প্রকোপের সঙ্গে ঘন কুয়াশা যোগ হওয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকদের ভোগান্তি বেড়েছে। পৌষ মাস শুরু হতেই প্রতিদিন ভোর থেকে বেলা গড়ানো পর্যন্ত চারদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। ফলে সূর্যের তাপ না পেয়ে সিদ্ধ ধান খোলা জায়গায় শুকাতে পারছেন না কৃষকরা।
বিজ্ঞাপন
কৃষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আমন ধান কাটার পর চাল তৈরির জন্য ধান সিদ্ধ করে উঠান বা রাস্তার পাশে শুকানো হয়। কিন্তু দিনের বড় একটি সময় কুয়াশা থাকায় ধান ঠিকমতো শুকাচ্ছে না। এতে ধান স্যাঁতসেঁতে থেকে যাচ্ছে এবং নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
সাহেবাবাদ, শিদলাই, দুলালপুর ও বড়ধুশীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তও সূর্যের দেখা মিলছে না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বারবার ধান উল্টে দিচ্ছেন, আবার সন্ধ্যার আগে ঘরে তুলে রাখছেন। এতে অতিরিক্ত শ্রম ও খরচ গুনতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় কৃষক মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “আগে দুই-তিন দিনের মধ্যেই ধান শুকিয়ে যেত। এখন পাঁচ-ছয় দিনেও ঠিকভাবে শুকায় না। কুয়াশার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করছে।”
আরেক কৃষক রহিম মিয়া জানান, পর্যাপ্ত রোদ না পেলে সিদ্ধ ধান থেকে ভালো মানের চাল পাওয়া যায় না। এতে বাজারে দামও কমে যায়।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকলে কৃষকদের বিকল্প উপায়ে ধান শুকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অস্থায়ীভাবে পলিথিন বা ছাউনি ব্যবহার করে ঢেকে ধান শুকালে ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় পাচারকালে টেকনাফে উদ্ধার ১৭
এদিকে আবহাওয়ার উন্নতির আশায় দিন গুনছেন ব্রাহ্মণপাড়ার কৃষকরা। সূর্যের দেখা মিললেই ধান শুকানোর কাজ স্বাভাবিক হবে—এই প্রত্যাশায় রয়েছেন তারা।








